আর্কাইভ | কবিতার কুঁড়েঘর RSS feed for this section

সোনালু ফুলের স্মৃতি

5 এপ্রিল

সোনালু ফুলের স্মৃতি

পরম মমতা দিয়ে যে ঘর বুনেছি এতকাল, সেই ঘরে তাঁর ফিরে আসার সম্ভাবনায় পথজুড়ে রোজ ছড়িয়ে দিতাম সোনালুর ফুল। ফুলে ফুলে শ্রীমন্ত পথ। এইসব হলুদ দেখেছিল ঘড়ছাড়া প্রজাপতির দল। বহুদিন পর একদিন সোনালু ফুলের কাছে তারা জেনেছিল আমার একান্ত বেদনার কথা। এইসব শুনে বুঝি তাদেরও জেগে ছিল মনে গোপন গহন ব্যথা। তারপর, পাতাবাহারের এক সোহানা বিকেল ফেলে প্রজাপতিরা তাদের ডানায় জমানো সব রঙ দিয়ে গেছে ঢেলে।

রোজ রাতে প্রজাপতির রঙ দিয়ে মেয়েটির ছবি আঁকি, আঁকি সোনালু ফুলের স্মৃতি। আঁকতে আঁকতে প্রজাপতির ডানার ভেতরে রঙের বদলে জমে ওঠে গহন অন্ধকার। আর কোনো এক রাতে এই অন্ধ গহন পথে ঝিঙুরের সুরে সুরে মোহন চোখের মেয়েটি সোনালুর ঘ্রাণ নিয়ে অনায়াসে বেদনার গল্প হয়ে গেছে। তাই পাঠ করি গল্প, পাঠ করি মেয়ে। আর রোজ রাত্রিবেলা কলাবতী নদীটির পাশে আমার ডাকনাম ধরে এক অচিন অন্ধ পাখি সুর করে কাঁদে। যেনো আর কোনো সুর নেই পাখিটির ঠোঁটে। ওই অন্ধ পাখির করুণ সুর ভেসে এলে আজো আত্মার ভেতরে শুধু কেঁপে কেঁপে ওঠে…
___________________________
(পাখিদের রাশিফল থেকে একটি)

রে ভগবান

29 এপ্রিল

রে ভগবান

ও ভগবান,
তোর মনে কী শুধুই কষ্ট জমা বেশি
অজস্র সেই সব কষ্ট-ব্যাথার ভিড়ে
তোর হূদয়টা যাচ্ছে বুঝি ছিঁড়ে
নইলে কেন কষ্ট পাঠাস দিবানিশি।

কষ্ট দিয়ে তুই আহলাদে আটখানা
চুপটি মেরে তাই দেখিস ব্যাকুলতা
দেখ, সবকিছুতেই আমার নীরবতা
কষ্ট দিবি দে, তোকে করবো না তো মানা।

হে ভগবান,
বলতো এই সব বলছি কেন আজ
কেন তুই যত্ন করে কষ্ট দিলি বেশ
আমার সঙ্গে তোর কিসের এতো রেশ
তোর তো দেখি একফোঁটাও নেই লাজ।

বৃথাই কেন পাঠাস এসব রোজ
তুই কী ভাবিস এসব আমার ভুল
দেখ, আমি কিন্তু কষ্টতেই মশগুল
তাই, তুই বরং অন্য কাউকে খোঁজ।

রে ভগবান,
ভাবলি কী রে, কষ্ট কোথায় তুলে রাখি
তোর কী আছে, পারলে এইবার দেখা
শোন, আমি কিন্তু তোর মত নই একা
সঙ্গে রাখি কষ্ট তাড়া মন্ত্র জানা পাখি।

…………………….
সুজন সুপান্থ
মোহাম্মদপুর, ঢাকা
৮ এপ্রিল ২০১২

ভালোবাসি যতিচিহ্নহীন

5 ফেব্রু.

অন্ধ দুই চোখ, ওই চোখেই ভালোবাসার সকরুণ সুর
অন্ধ দুই চোখে সজল শ্রাবণ, তুমি আছ দূর বহুদূর।
দূরে আছ তবু স্পর্শে আসে তোমার চুলের কাঠবেলী ঘ্রাণ
দুই চোখে বেজে যায় অন্ধ বিষাদের অশ্রুমুখী গান।

মনে পড়ে আজও তোমার হারিয়ে যাওয়া পায়ের ঘুঙুর
প্রতিক্ষণেই আহত করে, সেই ঘুঙুরের সুনিপুণ সুর।
বুঝি না এসব মায়া নাকি অযথাই শুধু মায়াদের ঘোর
দিনমান ভেবে ভেবে ফিরে আসে অভিশপ্ত নক্ষত্রের ভোর।

এতদিন বাদে ভাবি ভালোবাসা কতটা পেয়েছিল পূর্ণতা
নিত্য অনুভবে আসে আমার মাঝে তোমার বিশাল শূন্যতা।
তোমার শূন্যতা কাঁপিয়ে যায় দেহের প্রতি শিরা-উপশিরা
নোনা জলে ভেসে আসে শুধু নীল আর নীল কষ্টের মন্দিরা।

তোমার শূন্যতাকে ধারণ করে দিন গোনে অন্ধ এ বালক
হারিয়েছ কবে-সেই থেকে ঝরে গেছে এই দেহের পালক।
এই সব কিছু ভুলে যাব বলে ঠিক ছিল সব আয়োজন
বলো, কীভাবে ভুলে যাব-এই দেহে ওই দেহেরই বন্ধন!

চারিদিকে আজ শুধু কষ্ট আর বেদনারা করে কোলাহল
তোমার জন্য তবু হূদয়ে জেগে আছে সেই মুগ্ধতা সকল।
জেনে গেছি, আকাশের মায়া ছেড়ে আসবে না কোন দিন আর
আচমকা ধূলিঝড়ে ভেঙ্গেছে আমাদের বালির সংসার।

অন্ধ বালক আমি, অন্ধকারেই পড়ে থাকি পালকবিহীন
তবু দেখো, সব ছেড়ে তোমাকেই ভালোবাসি যতিচিহ্নহীন।

ভালোবেসে নষ্ট হবো

16 জানু.

কুহকিনী সন্ধ্যার আড়ালে যতটুকু ভালোবাসা দিয়ে গেছ, সেই ভালোবাসা আজও বড় বেশি ভালোবাসি মনে। প্রিয়তম ভেবে যতটুকু দিয়েছিলে ক্ষত, সেই সব সরল ক্ষত আজও বেড়ে চলে মনে। সেই সব সন্ধ্যা এখন উড়ে গেছে সহস্র আলোকবর্ষ দূরে। জলেশ্বরীও নেই বহুদিন। তবে বিস্মৃতি আছে, আছে স্মৃতিও; যেমন আছে জলেশ্বরীর দেয়া ভালোবাসা আর সরল ড়্গত।

অনন্তকাল তার চোখ ছুঁয়ে ভালোবেসে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি যে ওই সন্ধ্যার আড়ালেই ভালোবাসা রেখে এসেছি বহুকাল আগে। আমি তবে আজ কার চোখ ছুঁয়ে ভালোবেসে যাবো!

জলেশ্বরী বলেছিল, যদি কখনো মনে পড়ে-ভালোবেসে জোনাকীর বনে খুঁজে নিও। সেই থেকে অন্ধকারের সলতে জ্বেলে একলা একা বসে জোনাকীর সঙ্গে কথা কই। শুধু একবার তাঁর দেখা পাওয়ার ছলে-জোনাকীদের সঙ্গে রাতভর গল্পগাছা চলে। মাঝে মাঝে তাঁর অনুপস্থিতির উপস্থিতি বয়ে আনে অপূর্ব শুন্যতা, আর আমি সেই সব শুন্যতা ধারণ করে জোনাকীর বনে একা একা হেঁটে চলি পথ।

নিকষকালো অশ্রুমুখী রাতে খইয়ের মতো জোনাকীর বনে জলেশ্বরীকে দেখি। অন্ধকারে ভেসে আসে তাঁর শরীরের ঘ্রাণ। ঘ্রাণে ঘ্রাণে জোনাকীরাও ভুলে যায় তাদের নিজেদের গান। শোকগ্রস্থ আমি। আমার এ বিপর্যস্ত মন-জানে জোনাকীর বন। জলেশ্বরীর মতো সহজিয়া চোখেই দেখেছে তারা-জেনেছেও জলেশ্বরীর দেয়া যত সরল ক্ষত।

জলেশ্বরী ওরে, আমায় ছেড়ে একা একা কেন জোনাকী হলি তুই

বল না তবে, চোখ দুটো তোর আজকে আমি কেমন করে ছুঁই

চোখ দুটো তোর ছোবো বলে প্রতিরাতেই আসি এই জোনাকীর বন

বল না তবে, কোথায় পাবো অতীতের সেই নিস্তব্ধ রমণ।

এই সব শুন্যতা আর শোকের মন্দিরা যদি বেজে যায় মনে-তবে সব ছেড়ে চলে যাবো জোনাকীর বনে; নিকষকালো আঁঁধার আর জোনাকীর মাঝে তাঁর চোখ ছুঁয়ে পেতে যাবো আমাদের গোপন সংসার।

প্রভু, যার মুখ দেখিনা বহুদিন, দেখা হবে না সহস্রকালেও-তারপরও প্রতি মুহুর্তে সেই মুখ ভেসে ওঠে চোখের নদীতে। যদি বলো এ আমার নষ্ট চাওয়া-তবে তাঁকে ভালোবেসে বারবার নষ্ট হতে চাই। বিনিময় যদি চাও, প্রভু, আমার ইহকাল নিয়ে নাও, তবু তাঁকে ভালোবেসে নষ্ট হতে দাও।

পাখিজন্ম-বাসনা

6 জানু.

জানালার পাশে ঘর বেঁধেছিল একজোড়া মুনিয়া পাখি। মুনিয়া পাখিদের ভালোবাসা দেখে কেটে যেত আমাদের প্রতিটি সন্ধ্যা—সন্ধ্যার রাত। মুনিয়ার ঠোঁটে ঠোঁট রেখে কাম নিবেদন করে যেত মুনিয়ার বউ। তাদের সেই শীত্কারের ধ্বনি কানে কানে বলে যেত আদিম কথা। তারপর পাখিদের চোখে ঘুম নেমে এলে—আমরাও মুনিয়া পাখি হয়ে যেতাম বহুদিন-বহুকাল। এভাবেই প্রেমে-অপ্রেমে গড়ে ওঠে আমাদের যৌথ পাখিঘর।

নিজেদের পালক রেখে সেই কবে মুনিয়ারা চলে গেছে আর আসেনি। আমরাও আর মুনিয়া পাখি হতে পারিনি কখনো। আশালতা রায়! সেও তো যৌথ পাখিঘর ফেলে রেখে গেছে স্মৃতি—স্মৃতির পাহাড়।

পাখিদের শিসে আশালতার ডাক শুনি। বুঝি আশালতা রায় পাখি হয়ে গেছে—নইলে পাখিদের অমল ডানার ঝাপটানিতে আশালতার চুড়ির শব্দ রিনিঝিনি কেন বাজে? মেহগনির আড়াল থেকে স্তব্ধতার দেয়াল ভেঙে যে পাখি দিয়ে যায় শিস, তার শরীরে আশালতার শরীরের গন্ধ পাওয়া যায়। সেই গন্ধ ক্রমশ উত্তেজিত করে তোলে ভেতরের মগজ।
যে আশালতা ভালোবেসে আজ পাখি হয়ে ডাকে—ঈশ্বর, পরজন্মে আমি তার মতো পাখি হতে চাই। যদি বলো, এ বাসনায় ঢের হবে পাপ, তবে খাতা ভরে লিখে রেখো সে স্বর্গীয় পাপের হিসাব।

তবু জেনে রেখো তাই, পরজন্মে পাখি হয়ে আশালতার ঠোঁটে ঠোঁট রেখে নিস্তল তৃপ্তি পেতে চাই।

রোববার

27 সেপ্টে.

আজ আমি দিনমান মৃত্যু চিন্তা করি

কোন এক জ্যোতিষী বহুকাল আগেই

হাত দেখে বলেছিল—জন্ম দিবসেই

মৃত্যু লেখা আছে এই জীবনের। সেই

থেকে আজ অব্দি মরণের কথা ভাবি

চোখে মরণের তৃষ্ণা নিয়ে বসে থাকি।

 

মনে মনে ভাবি, এই বুঝি নিভে গেল

প্রাণ-বুঝি চলে গেল দেহের ঈশ্বর

এমত চিন্তায় রাত নেমে এলে-নৃত্য

করে শাঁকচুন্নী দল। দেহ খুলে তারা

বাঞ্ছা করে এই দেহ। মৃত্যু কামনায়

দেহ ঢেলে দেই ওই দেহে। শাঁকচুন্নী

পুলকিত হয়ে চলে গেলে—ফিরে আসে

তাদের উরুর মতো ভোর, তবু কেন

যে আসে না, বাসনার মৃত্যু ঘুমঘোর।

কনফেশন

27 মে

দুঃখ ক্লান্ত মনের এসরাজে দিনমান বেজে চলে নীল সুর। সুরে সুরে মাতাল আমি-মাতাল রাত্রি দুপুর। অবশেষে আকাশের গভীর নাভিতে থমথমে রাত নেমে এলে, ইশারায় ডাক দেয় পানপাত্রসভা। সভা শেষে জেগে ওঠে কাম; কামের মুরিদ আমি। সম্মুখ পর্দায় নেচে যায় মার্থা গ্রাহাম।

তারপর চারদিকে নেমে আসে অপার নিস্তব্ধতা। সেই নিস্তব্ধতায় নদী হয়ে যায় রাত জাগা বালিকার কামাতুর মন। ধীরে ধীরে জেগে ওঠে জ্যোত্স্নার বন। কিছুপরে-চাঁদের শরীর বেয়ে জ্যোত্স্নার আলোকুচি নেমে আসে বালিকার নদী জলে। ছল ছল নদী জল। সঙ্গত, বালিকার নদীজলে ডুব দেই নিত্য কোনো দোষে; স্নান শেষে রাত কাটে প্রিয় শঙ্খ ঘোষে।

চিঠি

23 এপ্রিল

[ চিঠি দিও আশালতা রায় ]

পোস্টবক্স ফাঁকা পড়ে আছে বহুদিন
যত্নহীন; জানি, তবু নিত্যদিন ওই
পোস্টবক্স হাতড়িয়ে যাই চিঠিপত্র।

যে বছর আশালতা সূর্যে চলে গেল
সেই থেকে আর কোনো চিঠিই আসেনি
কথা হয়ে-অপূর্ণতার আঁধার ঘরে।
কত কথা জীবন্ত হয়ে উঠতো সেই
চিঠিদের প্রতিটি শব্দে, এখন সেই
শব্দ রক্ত ফোঁটা হয়ে ঝরে পড়ে বুকে।

এই ব্যথার মানে! পোস্টম্যানই জানে।

আশালতা এখন সূর্যে বেধেছে ঘর
তাই হয়তো ভুলেছে আমার সাকিন
কিংবা বোবা আলো ভর করেছে তার
ভেতরের জীবন্ত শব্দগুলোর ওপর।

তবুও তো, প্রতি সোমত্ত রাত্রির কাছে
অকথ্য ক্লান্তি জমা দিয়ে লিখে যাই শব্দ,
সেই সব শব্দ চিঠি হয়ে উড়ে যায়
সূর্যে-আশালতা রায়েরই কাছে।

আশালতা, আদৌ পড়েছ কী সেই চিঠি?
তা নাহলে আমার এই অপূর্ণতার
আঁধার ঘরে বহুদিন কোনো চিঠিই
আসছে না কেন জোনাকির ফুল হয়ে।

জন্মসূত্র

1 এপ্রিল

আমাদের বাহির উঠোনে ছিল কামিনী গাছের সারি
তার সেই সাদা ফুলের সুবাসে ভর করে কেটে যেত
উঠোনের অলস সময়। পাশেই এক কোণায় ছিল
বয়ঃ বৃদ্ধ ধ্যানী বকুলের গাছ—গাছ থেকে দিনমান
খসে পড়তো বকুলের ফুল। মনে হতো কেউবা উঠোনের
গায়ে বিছিয়ে দিয়েছে ঝরা বকুলের চাদর। সেখানে
খেলা করে বেড়াত ফুল কুড়ানির দল—সেখানে পড়ে
ছিল প্রেমিকের আবেগঘন অনুচ্চারিত ভালোবাসা।

অদূরে দিঘির পাড়েই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল
ফলবতী নারিকেল আর সুপারি গাছের দলবল,
আর দিঘির জলে নিজেদের প্রতিবিম্ব দেখে চমকে
উঠতো গাছেদের দল। দিঘির বুক থেকে ভেসে আসা
বাতাস ভরা জ্যৈষ্ঠেও শীতল করতো প্রেমিকের মন।

এখন আর সেই উঠোনের কাটে না অলস সময়
খসে পড়ে না কোনো বকুল ফুল, দূরে ঝরা বকুলের
স্মৃতিচারণ করে বকুলেরই জারজ সন্তান।

সেই দিঘিটিও আর নেই, নেই তার বুক থেকে ভেসে
আসা শীতল বাতাস, তার বুকে এখন বেড়ে উঠেছে
ইটের দেয়াল—সঙ্গত, ফলবতী গাছেদের পতন
দেখে মুচকি হাসে সে দেয়ালে গজানো শ্যাওলার ঝোপ।

শ্যাওলার সেই হাসির মানে শুধু আমাদের এই উঠোনই বোঝে
অদূরে একা এক বৃহন্নলা নারিকেল গাছ তার জন্মসূত্র খোঁজে।

জন্মের ধারাপাত

4 মার্চ

জন্মেই পেয়ে গেছি সেই জনমের দেখা
ঋতু বদলে কমে জীবনের আয়ুরেখা,
কমে আয়ুরেখা তবু তো বুঝি না কারণ
কেন যে শিখিনি আমি জন্মের ব্যাকরণ।

জানি না জন্মের ব্যাকরণ কী ধারাপাত
সাপ লুডু খেলে শুধু কেটেছে দিনরাত,
হাতছানি দেয় কিছুদিন-জন্মকালীন
কী করে শোধাবো আমি সেই জন্মের ঋণ।

এমত সন্দেহ নিয়ে গুনি জন্মের দাম
মনে মনে খুঁজেছি বাত্স্যায়নের গ্রাম,
ও গাঁয়ে রাধিকা বিকোয় বাণিজ্যের হাটে
তাই জ্ঞান বাড়ে জন্মের ধারাপাত পাঠে।

সঙ্গত, ও গাঁয়ে আমি নির্ঘুম সারা রাত
রপ্ত করেছি-জন্মের ধারাপাত,
রাধিকারাও পাঠ দেয় জেগে সারা নিশি
ধারাপাত শেষে লিখি নতুন পাঠ্য সূচী।